সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের সঙ্গে আছেন তারানকো
ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডট কম
চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো।
যদিও সরকার দেশি বা বিদেশি এমন যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নয়। কিন্তু বিএনপি সব সময়ই স্বাগত জানিয়ে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
বিষয়টি জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।
সরকারি তরফে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হচ্ছে না। বিশেষ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চলমান রাজনৈতিক সমস্যাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে অসহযোগিতামূলক মনোভাব দেখিয়েছেন।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চেয়ে মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হককে প্রশ্ন করেন এক বিদেশি সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তার কোনো তথ্য জানা নেই।
তবে সহকারী মাহাসচিব তারনকো মহাসচিব অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে কাজ শুরু করেছেন। এ মুহূর্তে তার বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা না থাকলেও সঙ্কট নিরসনে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অব্যাহত সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় ফের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মহাসচিব বান কি মুনের এ উদ্বেগের কথা জানান তার ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে।এমন বাস্তবতায় জাতিসংঘের নেয়া উদ্যোগের কোনো ফলাফল আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক বলেন, ‘অব্যাহতভাবে মানুষের প্রাণহানি ও সহিংসতায় ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠায় মহাসচিব বান কি মুন ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে মাহাসচিব বান কি মুন আশাবাদী।’
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে এসেছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো।
ওই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বৈঠকে মধ্যস্থতা করেছিলেন তিনি। তবে তার চলে যাওয়ার পর এ ব্যাপারে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
প্রতিক্ষণ/এডি/রাজন